যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়া পুরাতন জামে মসজিদ মারকাজুত তাফফিজ মাদরাসা এতিমখানা ও লিল্লাহ বডিং এর হেফজ বিভাগের এক ছাত্র বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে মারাত্মক আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল ১৮ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরে ওই প্রতিষ্ঠানের ছাত্র মোঃ জুয়েল রানা (১৭) মাদরাসার তৃতীয় তলার ছাঁদের উপর বিছানা পাটি ধৌত করে রোদে শুকাতে দেয়।
এসময় ছাদের দক্ষিণ পাশে দেওয়াল ঘেঁষে পল্লী বিদ্যুৎ এর হাই বল্টের ১১ হাজার কেভি লাইন থাকাই দেওয়ালে হাত দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাত টেনে নিয়ে যায়। তাতে বিদ্যুৎ এ তার বাম হাত মারাত্মক ভাবে ঝলসে যায় এবং দায়িত্বরত শিক্ষক হাফেজ মোঃ আবু হাসানকে খবর দেয় অন্যান্ন শিক্ষার্থীরা। তিনি ঘটনা স্থলে এসে জুয়েলকে উদ্ধার করে প্রতিষ্ঠানের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাসুদ মোল্যাকে খবর দিয়ে দ্রুত আলাদীপুর বাজারের চিকিৎসক ফজলুর রহমানের চেম্বারে এনে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।
তাতে জুয়েলের অবনতি দেখা দেয় তারপরও কতৃপক্ষ তার বাড়িতে খবর না দিয়ে চুপ করে থাকেন। পরদিন ১৭ সেপ্টেম্বর রোববার সকালে জুয়েলের পিতা বাঘারপাড়া উপজেলার জামদিয়া ইউনিয়নের নিত্যানন্দপুর গ্রামের মোঃ আকবর শেখ গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পেরে মাদরাসা থেকে তার ছেলেকে নিয়ে এসে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর সদর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। জুয়েলের পিতা মোঃ আকবর শেখ বলেন, মাদরাসার হুজুররা তো একটু খবর দিতে পারতো। এ-তো বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে তারপরও জানানোর প্রয়োজন হয়নি কেন এমন অভিযোগ তার।
এব্যাপারে মাদরাসার শিক্ষক হাফেজ মোঃ আবু হাসান এর সাথে কথা বল্লে তিনি বলেন, জুয়েল নিষেধ করে ছিল তার বাড়িতে খবর না দিতে। তাছাড়া আমরা তাকে চিকিৎসা দিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে প্রতিষ্ঠানের সাধারন সম্পাদক মোঃ মাসুদ মোল্যা সাংবাদিকদের বলেন এঘটনাটি দুঃখ জনক, তার পরিবারকে খবর না দেওয়াতে। ছোট ছোট কয়েকজন ছাত্রের সাথে আলাপকালে তারা জানায় এর আগেও তিন জনকে বিদ্যুৎ এ ধরে ছিলো। বিষয়টি নিয়ে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।