যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার ৯ নং জামদিয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড আমুড়িয়া গ্রামের সফল চাষি মোঃ ইসমাইল হোসেন সরদার তেল জাতীয় ফসল সূর্যমুখী চাষ করে এলাকায় সাধারণ কৃষকদের তাক লাগিয়ে দিয়েছে। স্বাধীনতা উত্তর এক সময় ইসমাল সরদার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অর্ধাহারে অনেক সময় অনাহারে দিন পার করেছে। আজ তিনি একজন স্বনামধন্য ব্যাবসায়ী ও চাষি। সরেজমিনে কথা হয় জনাব ইসলাম সরদারের সাথে তিনি বললেন আমার ৪ মেয়ে ও ১ ছেলে সকলকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে ৪ মেয়েকে সৎ ও কর্মজীবি ছেলের হাতে তুলে দিয়েছেন চাষি ইসমাইল সরদার। এক মাত্র ছেলে মোঃজাকারিয়া হোসেন ঢাকা ড্যাফোডিল প্রকৌশলি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে২০২২ ইং বি, এস, সি (সফটওয়ার) ইন্জিনিয়ারিং শেষ করে বাবার কৃষি কাজে সহায়তা করে চলেছে। গত ইং ১২ মার্চ রবিবার উপজেলার করিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ প্রঙ্গনে তেলজাতীয় ফসলের উপর দিনব্যাপি মাঠ দিবস পালিত হয় এবং এমাঠ দিবসে অংশগ্রহণ করেন সরদার সাহেব। সেখান থেকে ফিরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সয়াবিন ও পম্পওয়েল তেলের কুফল সম্পর্কে বুঝিয়ে বললেন।আমরা আর বিষ কিনে খাব না নিজেদের ইচ্ছামত নিজের জমিতে তেল জাতীয় ফসলের চাষ করবো এবং তাই দিয়ে নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে অবশিষ্ট যদি থাকে তা আমরা বাজারে বিক্রি করে কিছু আর্থিক ক্ষতি পুরন করব। তার এই মহতি উদ্যোগ দেখে গ্রামের অনেক চাষি এই তেল জাতীয় ফসলের উপর ঝুকে পড়েছে তার মধ্যে আমুড়িয়া গ্রামের মোঃ মকবুল হোসেন(ফুলমিয়া) মোঃ আলামিন হোসেন, মোঃ ইয়াছিন, পীরবাড়ির শামিম হোসেন ও আরও অনেকে। এব্যাপারে কথা হয় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জামদিয়া ইউনিয়ন পরিষদে কর্মরত বাবু বিজন কুমার রায় ও কল্লোল হালদারের সাথে তিনারা বললেন আমুড়িয়ার ইসমাইল সরদার একজন স্বনামধন্য আদর্শ কৃষক তিনি সর্বসময় আমাদের সংগে যোগাযোগ রেখে চাষাবাদ করে। এবারও তিনি সূর্যমুখির চাষ করেছে এবং ফলনও ভালো হয়েছে এটা আমাদের নজরদারিতে রয়েছে বললেন দুই উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা। আমুড়িয়া গ্রাম ছাড়াও এ ইউনিয়নের তেঘরী, ভিটাবল্লা, আদমপুর, জামদিয়া, ভাঙ্গুড়া, করিমপুর, জোকা গ্রামে দেখা
যায় এই সূর্যমুখি ফসলের চাষ। এলাকার জনমানুষ বিষ কিনে খেতে চইছে না।