সারোয়ার হোসেন নাগরপুর (টাংগাইল) প্রতিনিধি :
রোজা হল আল্লাহর পক্ষ থেকে দেয়া বিশেষ উপহার তাইতো এর প্রতিদান আল্লাহ স্বয়ং নিজেই দিবেন। তাছাড়া হাদীসে রোজাদারদের জন্য যা যা পুরস্কার থাকবে তাও বর্ণনা করে দিয়েছেন।
হযরত আবু হুরায়রা (রা.) তা’আলা আনহু হতে বর্ণিত আছে রাসুল (সা.) বলেন,
পবিত্র রমজান উপলক্ষে আমার উম্মতকে পাঁচটি বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে,যা পূর্ববর্তী কোনো উম্মতকে দেওয়া হয়নি।
(১)রোজাদারদের মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট মৃগনাভির চেয়েও বেশি পছন্দনীয়।
(২)সমুদ্রের মাছ পর্যন্ত রোজাদারের জন্য দোয়া করতে থাকে।
(৩)জান্নাতকে রোজাদারদের জন্য প্রতিদিন সজ্জিত করা হয় এবং আল্লাহ তা’আলা বলেন,আমার বান্দাগণ দুনিয়ার ক্লেশ-যাতনা দূরে ফেলে রেখে অতিসত্বর তোমার নিকট আসবে।
(৪)রমজানে দুর্বৃত্ত শয়তানকে শিকলবদ্ধ করা হয়। যার দরুন সে ঐসব পাপ করাতে পারে না,যা অন্য মাসে করানো সম্ভব।
(৫)রমজানের শেষ রাত্রে রোযাদারদের গুনাহ মাফ হয়ে যায়। সাহাবাগণ আরজ করলেন-
ইয়া রাসূলাল্লাহ! এই ক্ষমা কি শবে কদরে হয়ে থাকে?
রাসূল (সা.) বললেন, না;
বরং নিয়ম হল শ্রমিক কাজ শেষ করার পরই পারিশ্রমিক পেয়ে থাকে।
মেশকাত শরীফ,খন্ড 1 পৃষ্ঠা 174 মুসনাদে আহমদ,বাইহাকী।
নবী করিম (সা.) উক্ত হাদিসে এই উম্মতের পাঁচটি বিশেষ পুরস্কারের কথা বর্ণনা করেছেন,যা অন্য কোন নবীর উম্মতের ভাগ্যে জোটেনি।
আফসোস!আমরা যদি আজ তা বুঝতাম তাহলে তা হাসিলের জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করতাম।
আল্লাহ আমাদের সকলকে তা হাসিল করার তৌফিক দান করুক।
আমিন!
লিখেছেন….
মাওলানা মুহা.রেজাউল করীম
ছাত্র,
উম্মুল মাদারিস,বড় কাটারা,ঢাকা।