স্টাফ রিপোর্টারঃ যশোরের বাঘারপাড়ার খাজাবাবা ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় ক্লিনিকটি পরিদর্শন করেছেন যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন। মঙ্গলবার সকালে ক্লিনিকটি পরিদর্শন শেষে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকাসহ বিভিন্ন অনিয়ম পাওয়ায় ক্লিনিকটি অনির্দিষ্টকালের জন্য সিলগালা করা হয়েছে। এসময় সিভিল সার্জনের টিম, থানার ওসি ফিরোজ উদ্দীন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তারসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সুত্রমতে, খাজাবাবা ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগে ভুক্তভোগীরা সহ সাধারণ জনতা বিক্ষুব্ধ হওয়ায় এবং তা বিভিন্ন পত্রিকাশ পাওয়ায় মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থলে হাজির হন সিভিল সার্জনসহ স্বাস্থ্য বিভাগের টিম ।
গত সোমবার দুপুরে খাজাবাবা ক্লিনিকে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে উপজেলার দক্ষিণ শ্রীরামপুর গ্রামের ওয়াদুদ বিশ্বাসের স্ত্রী মাসুরা বেগমের পুত্র সন্তান ভুল চিকিৎসায় মারা যায় বলে অভিযোগ করেন নিহতের পরিবার। একইভাবে গত শনিবার চাড়াভিটা এলাকার ফল ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলামের সন্তানও একই ক্লিনিক থেকে ভুল চিকিৎসায় মারা যায়। এ সপ্তাহে দু’টি নবজাতক ভুল চিকিৎসায় নিহতের ঘটনায় ক্লিনিকে হট্টগোল শুরু হয়।
একের পর এক অভিযোগ আসতে শুরু করে ক্লিনিক মালিক নূর হাসান লাল্টুর বিরুদ্ধে। তথ্য অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসছে লাল্টুর অপকর্ম। সাজানো এ অপচিকিৎসার ফাঁদে পড়ে ধুকে ধুকে মরছে সাধারণ মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে খাজাবাবা ক্লিনিকের ট্রেড লাইসেন্স, আয়কর প্রত্যায়ন পত্র, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, নাকোর্টিক্সসের পারমিড, ইনকাম ট্যাক্স, ভ্যাট, রেজিষ্ট্রেশন , জনশক্তির লাইসেন্স, ফায়ার সার্ভিসের লাইসেন্স, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা চুক্তিপত্রসহ , যাবতীয় কাগজপত্র ছাড়াই অবৈধভাবে ক্লিনিকটি চলে আসছিলো। যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহিন জানিয়েছেন, বিভিন্ন অভিযোগ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় খাজাবাবা ক্লিনিকটি সিলগালা করা হয়েছে।
বাঘারপাড়া থানার ওসি ফিরোজ উদ্দীন জানিয়েছেন, সোমবারের ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। মামলা নং ০১/২১।