
নড়াইল পৌর নির্বাচনের ৪ দিন আগে আ’লীগের বিদ্রোহী প্রাথী সর্দার আলমগীর হোসেন নৌকার প্রার্থীকে সমর্থন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন। সোমবার (২৫ জানুয়ারী) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নড়াইল নতুন বাস টার্মিনালের বাস মালিক সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের বিগত কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাবুল সাহা, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য সৌমেন চন্দ্র বোস, জেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম, নড়াইল পৌরসভার সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র মোস্তফা কামাল মোস্ত, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি চঞ্চল শাহরিয়ার মিম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নিলয় রায় বাধনসহ আওয়মী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
নড়াইল পৌর মেয়র প্রার্থী নড়াইল পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় বহিস্কৃত) সর্দার আলমগীর হোসেন বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে এবং নড়াইল-২ আসনের এমপি মাশরাফি বিন মুর্তজার সম্মানে আমি নিজে নির্বাচন থেকে সরে দাড়ালাম এবং সকলকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আনজুমান আরার পক্ষে কাজ করার আহবান জানাচ্ছি।
আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ জানুয়ারী রাতে শহরের দূর্গাপুর এলাকায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে নৌকার সমর্থকদের সাথে আ’লীগ বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের এক সংঘর্ষে দু’পক্ষের ৫জন আহত হয়। এর ৪ ঘন্টা পর নৌকা প্রতিকের দু’টি নির্বাচনী অফিসে দুবৃত্তরা আগুন দেয়। এছাড়া বিদ্রোহী প্রার্থীর লোকজন বিভিন্ন এলাকায় নৌকা প্রতিকের পোস্টার ছিড়ে ফেলা এবং নৌকার কর্মীদের হুমকিধমকি দিয়ে আসছিল বলে অভিযোগ ছিল। এসব ঘটনায় বিদ্রোহী প্রার্থীর ৬০জন সমর্থকের বিরুদ্ধে মামলা সদর থানায় মামলা হলে বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকরা নমনীয় হতে শুরু করেন। এর আগে থেকেই বিদ্রোহী প্রার্থীকে নির্বাচন থেকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা চলছিল। তবে সাম্প্রতিক সংঘাতের কারণে সমঝোতার বিষয়টি ত্বরান্তিত করেছে।
এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের বিগত কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাবুল সাহা বলেন, দলীয় নেতৃবৃন্দ এবং এমপি মাশরাফি বিন মুর্তজার প্রতি সম্মান দেখিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাড়িয়েছেন। এ সিদ্ধান্ত আওয়ামী লীগের ঐক্য বৃদ্ধি করবে এবং নৌকা প্রতিকের বিজয়কে তরান্বিত করবে।